বৃহস্পতিবার ৪ ডিসেম্বর ২০২৫ - ১৮:১৬
ইরানের ‘রেড লাইন’ নিয়ে না খেলতে পারস্য উপসাগরীয় দেশগুলোকে সতর্ক করলেন সর্বোচ্চ নেতার উপদেষ্টা

ইসলামি বিপ্লবের সর্বোচ্চ নেতার জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা রিয়ার অ্যাডমিরাল আলী শামখানি পারস্য উপসাগরীয় আরব উপকূলবর্তী দেশগুলোকে সতর্ক করে জানিয়েছেন, ইরানের তিন দ্বীপ এবং আরাশ গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে পারস্য উপসাগর সহযোগিতা পরিষদের (PGCC) পুনরাবৃত্ত অভিযোগ কোনোভাবেই গঠনমূলক নয়। তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশগুলোর উচিত আঞ্চলিক নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখা, ইরানি জনগণের ‘রেড লাইন’কে চ্যালেঞ্জ করা নয়।

হাওজা নিউজ এজেন্সি: রিয়ার অ্যাডমিরাল শামখানি তাঁর এক্স (সাবেক টুইটার)–এ লিখেছেন, “ইরানের তিন দ্বীপ ও আরাশ গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে পিজিসিসির দাবি ভিত্তিহীন এবং অগঠনমূলক। ১২ দিনের যুদ্ধের সময় আমরা সংযম দেখিয়েছি, যদিও কিছু দেশ আগ্রাসীদের প্রতি সমর্থন জানাচ্ছিল।”

তিনি আরও বলেন, “পারস্য উপসাগরে ইরানের শক্তি ও সক্ষমতাকে ভুলভাবে ব্যাখ্যা করলে তা সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর জন্য ক্ষতিকর হবে। নিরাপত্তা নির্মাণই প্রতিবেশীদের দায়িত্ব—ইরানের জাতীয় সীমারেখা নিয়ে খেলা নয়।”

বুধবার রাতে বাহরাইনে অনুষ্ঠিত পিজিসিসির ৪৬তম শীর্ষ সম্মেলনের শেষে প্রকাশিত বিবৃতিতে পরিষদ আবারও তিন ইরানি দ্বীপ—আবু মুসা, গ্রেট টুনব ও লিটল টুনব—and আরাশ গ্যাসক্ষেত্র নিয়ে তাদের পুরোনো অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে।

পরিষদ দাবি করে, দ্বীপগুলো “সংযুক্ত আরব আমিরাতের অবিচ্ছেদ্য অংশ” এবং সেগুলোর জলসীমা, আকাশসীমা ও একচেটিয়া অর্থনৈতিক অঞ্চলের ওপর আমিরাতেরই সার্বভৌমত্ব রয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আরাশ (আল-দুরা) গ্যাসক্ষেত্র সম্পূর্ণভাবে কুয়েতের জলসীমায় অবস্থিত এবং যৌথ নিরপেক্ষ অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের মালিকানা একমাত্র কুয়েত ও সৌদি আরবের, যারা এর সম্পদ ব্যবহারের একক অধিকারী।

দীর্ঘ ইতিহাসে এই তিন পারস্য উপসাগরীয় দ্বীপ ইরানের অংশ হিসেবে স্বীকৃত—যা অসংখ্য ঐতিহাসিক, আইনি ও ভূগোলভিত্তিক নথিতে প্রমাণিত। তবুও সংযুক্ত আরব আমিরাত বহু বছর ধরে এসব দ্বীপের দাবি জানিয়ে আসছে।

১৯২১ সালে দ্বীপগুলো ব্রিটিশ নিয়ন্ত্রণে গেলেও ১৯৭১ সালের ৩০ নভেম্বর ব্রিটিশ বাহিনী অঞ্চল ত্যাগের পর এবং ইউএই ফেডারেশন ঘোষণার মাত্র দুই দিন আগে ইরান দ্বীপগুলোর ওপর তার সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে।

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha